August 19, 2025, 7:04 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আমদানি শুরুর পর দাম বাড়েনি পেঁয়াজের বেসরকারি পর্যায়ে ১০ লাখ টন ডাল ও চিনি আমদানি অনুমোদন কুষ্টিয়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াইয়ে পানি কমলেও দৌলতপুরে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি কুষ্টিয়া শাহিন ক্যাডেট স্কুল/ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঝিনাইদহে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৭ জন আটক রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র আনছিল সৌদি জাহাজ, ইতালিতে আটক

কুষ্টিয়া-৪ নিয়ে উদ্বেগ/কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের নজর যে দিকগুলোতে, দৃষ্টি তৃণমূল পর্যন্ত

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সমপন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে নির্বাচজন ঘিরে বিদেশি কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের আগ্রহ বরাবরের মতো রয়েছে। যেহেতু নির্বাচন হচ্ছেই এমনটি ধরেই তারা এবারের নির্বাচনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকার ও ইসি অঙ্গীকার অনুযায়ী সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে কি না, সেদিকে গভীর দৃষ্টি রাখছে তারা। বিশেষ করে জনগণের অংশগ্রহণ ও ভোটের হার কেমন হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি তাদের। সংস্থাগুলো নজর রাখছে বিভিন্ন দেশ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এজন্য তারা নিয়োগ দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিধিও। স্পর্শ কাতর হয়ে উঠতে পারে এমন বেশ কয়েকটি জেলাও রয়েছে তাদের দৃষ্টিতে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীদের আচরণের উপরও রয়েছে তাদের নজর।
এদিকে কুষ্টিয়ার একটি আসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একটি বিদেশী পর্যবেক্ষক সংস্থা। ঐ আসন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেখানে সরকার দলীয় প্রতীক নিয়ে ঐ আসনের প্রার্থীর লোকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকেদের উপর একের পর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০টির মতো আক্রমণের ঘঠনা ঘটেছে। আক্রমণের লক্ষ্য ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীবাহিনী ও তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বা চনী চেইন ভেঙে দেয়া এবং নির্বাচনী অফিসগুলো উন্মমুক্ত না থাকতে দেয়া। এর আগে সরকার দলীয় ঐ প্রার্থীর গুরুত্বপূর্ণ একজন এজেন্ট ইতোমধ্যে ঘোষণা করে রেখেছে ভোট যে যেখানেই দিক বিজয় নৌকার পক্ষে ঘোষণা করিয়ে নেয়া হবে। এর বাইরেও সরকার দলীয় প্রতীকের কর্মীরা বিভিন্ন সমাবেশে বলে রেখেছে তাদেরকে ভোট না দিলে চরম অবস্থা ভোগ করতে হবে ভোটারদের। এ নিয়ে জেলার নির্বাচন নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা বলেছেন সুষ্ঠু পরিবেশ নির্মাণে তারা কাজ করে চলেছেন।

ঐ সংস্থার খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি ড. আমানুর আমান জানান, এই মুহেুর্তে ঐ আসনে উদ্বেগ বেশ তীব্র হয়েছে। একদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর আক্রমণ চলছে পাশাপাশি প্রতিদিনই স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকেদের পুলিশ ধরছে। তার আগে মামলা করিয়ে নেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. আমান জানান, আদালত থেকে জামিন নিতে হচ্ছে এসব কর্মীদের তবে মামলা রয়েই যাচ্ছে। যদি সরকার দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হয় তাহলে ঐ মামলার সূত্র ধরে অত্যাচার নির্যাতন আরও বাড়বে। তিনি বলেন ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

তবে ভোটের পরিবেশ রয়েছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে বলে মত দেন তিনি।

সরকার শুরু থেকেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কি রকম সহযোগিতা করছে এটাও চেলচেরা পর্যবেক্ষন করছে তারা। বিশেষত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোন রকম বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে কিনা। সেটা গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩৮২ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিও বিদেশি কূটনীতিকরা আমলে নিয়েছেন। এখন তারা দেখতে চান ভোটের পরিবেশ ও ভোটার উপস্থিতি।
জানা গেছে, নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। ইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন তারা। প্রতিদিনই বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজ নিজ দেশের সরকারকে অবহিত করছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ভোট বর্জনের সংস্কৃতির কারণে বরাবরই ভোটের হার ওঠানামা করেছে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোটের হার ছিল ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও সেবার ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছিল, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল সবচেয়ে কম ২৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষক সেল বিদেশি সংস্থা ও বিদেশি সাংবাদিকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট তথ্য ও সহযোগিতা দিচ্ছে। বিদেশি বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net